টেকনাফে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি, দুই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

বিশেষ প্রতিবেদক •

বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দাম ৮০০ টাকা। কিন্তু ওই তেল ৮২০ টাকায় বিক্রি করায় দোকানমালিক আবু সৈয়দকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।

একই সঙ্গে সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতলের দাম ৫ টাকা বেশি রাখায় নজরুল স্টোর নামের এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ওপরের বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন টেকনাফ থানা–পুলিশের একটি দল।

এ সময় সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে জরিমানা করার পাশাপাশি বাজারের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগে ৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মেসার্স জাফর স্টোর, মেসার্স সুদির পাল স্টোর, মেসার্স রুবেল দাশ স্টোর, মেসার্স আবদুল কাইয়ুম স্টোর ও মেসার্স নুরুল হক স্টোর। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, হঠাৎ সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করছেন। অথচ এসব সয়াবিন তেল তারা দুই বা তিন সপ্তাহ আগে কিনে এনে দোকানে মজুত করেছেন। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করায় বিক্রেতাদের জরিমানা গুনতে হয়েছে। এভাবে বাজার তদারকি করা হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন না।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরফানুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রির দায়ে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে আরও ৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজারসহ সর্বমোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী আরও বলেন, টেকনাফে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে বাজার তদারকি কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত দাম রাখায় তাৎক্ষণিক ক্রেতাদের ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়। পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় ফুটপাত দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় আরও ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ আদেশ অমান্য করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।